শক্তি-সামর্থ্যে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই দলটির বিপক্ষে প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত দশ জনের দল নিয়েও ১-১ গোলে ড্র করে লাল-সবুজের দল।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে ভারতকে এগিয়ে দেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী। উজ্জান্ত সিংয়ের ক্রসে সুনীল চমৎকার শটে লক্ষ্যভেদ করেন।

অবশ্য ১১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। ইব্রাহিমের ক্রসে মতিন মিয়া পা ছোঁয়ালেই গোল হতো। কিন্তু এক ভারতীয় ডিফেন্ডার রক্ষা করেন। 

২৭ মিনিটে মতিন মিয়ার ব্যাক পাসে বিপলু আহমেদের শট সাইডবার ঘেষে বল বাইরে চলে যায়।

ম্যাচে বাংলাদেশ সবচেয়ে সহজ সুযোগটা নষ্ট করে ৪০ মিনিটে। চার জন ফুটবলার এক সঙ্গে আক্রমণে গিয়েও পারেননি গোল আদায় করতে।  

তবে ৭৬টি আন্তর্জাতিক গোল করা সুনীল ছেত্রী এদিনও বাংলাদেশের বিপক্ষে উজ্জ্বল ছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাঁর ষষ্ঠ গোল। 

দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ দারুণ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই সাফল্যের দেখা পাচ্ছিল না তারা।  

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দশ জনের দল পরিনত হয় বাংলাদেশ। বিশ্বজিৎ ঘোষ লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লে বেশ ক্ষতি হয় লাল-সবুজের দলের।

কিন্তু ম্যাচে এর প্রভাব পড়তে দেননি খেলোয়াড়রা। ৭৫ মিনিটে সমতায় ফিরে বাংলাদেশ। ইয়াসিন আরফাত দলকের হারের হাত থেকে রক্ষা করেন। কর্নার থেকে রাকিব হোসেনের মাথা ছুঁয়ে বল পয়ে আলতো হেডে ভারতের জালে বল জড়ান এই ডিফেন্ডার।

শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল। এই ড্র বাংলাদেশের কাছে জয়ের সমানই বলা যায়।

এদিনের ড্রয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ার দল ১-০ গোলে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।    

বাংলাদেশের একাদশ : আনিসুর রহমান জিকো, ইয়াসিন আরাফাত, তারিক রহমান কাজী, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিপলু আহমেদ, রাকিব হোসেন, মতিন মিয়া ও সাদ উদ্দিন।