আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের ভবিষ্যৎ নিয়ে গেল কয়েক মাস ধরে আলোচনা হচ্ছে। অবশেষে তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমের সামনে অবস্থান স্পষ্ট করলেন। জানিয়ে দিলেন, আগামী ছয় মাস দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না বাঁহাতি এই ওপেনার।

এরপরও ফিরতে তেমন আগ্রহী নন তামিম। যদি তরুণ ওপেনাররা ভালো করতে না পারেন সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ফেরার কথা ভেবে দেখবেন। আপাতত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশসেরা এই ওপেনার।  

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলন চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তামিম। চলমান বিপিএলে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলছেন তামিম। আজ দলের অনুশীলন শুরুর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের ভবিষ্যতের কথা জানালেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।

এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, শেষ কয়েক দিন আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রথমেই একটা জিনিস বলি, আমার সঙ্গে কয়েকদিন ধরে বিভিন্নভাবে অনেক জায়গায় বৈঠক হয়েছে। সভাপতি, জালাল ভাই, কাজী এনাম ভাইদের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনারা চাচ্ছেন অন্তত বিশ্বকাপ পর্যন্ত যেন আমি চালিয়ে যাই। আমার ব্যাপারটা আলাদা ছিল। এখন দুই পক্ষ মিলে যেটা ভালো হয় ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ছয় মাস আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ভাবছি না। এই কয়েক মাস আমার পুরো ফোকাস টেস্ট ও ওয়ানডেতে থাকবে।’

তবে ভবিষ্যতে যদি তরুণ ওপেনাররা দায়িত্ব নিতে না পারেন তাহলে ফেরার কথা ভাববেন তামিম। আপাতত এই ফরম্যাট থেকে বিরতি নিচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আশা করি এই ছয় মাসে তরুণরা এত ভালো খেলবে, আমার আর প্রয়োজন পড়বে না। তারপরও ছয় মাস পর যদি এমন সময় আসে, ক্রিকেট বোর্ড, সিলেক্টর বা টিম ম্যানেজম্যান্ট যদি মনে করে আমাকে দরকার। তখন আমিও যদি তৈরি থাকি, তখন আবার এটা নিয়ে আলাপ হবে। কিন্তু এই ছয় মাস এটা নিয়ে ভাবছি না।’

দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন না তামিম। সবশেষ ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন তামিম। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া তামিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি  টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২৪.০৮ গড় ও ১১৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১ হাজার ৭৫৮ রান। এর মধ্যে চারটি ম্যাচ হলো বিশ্ব একাদশের হয়ে। এ ছাড়া ২০১৪ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।