পুঁজিবাজারে নিরাপদ বিনিয়োগ খাত জ্বালানি, পরে ব্যাংক

চলতি সপ্তাহে আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ডাবল ডিজিটে রয়েছে। পিই রেশিও হিসেবে ডাবল ডিজিট হলেও ডিএসইতে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকেরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতটির পর বিনিয়োগে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। আলোচিত এই দুই খাতের পিই রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে অবস্থান করছে। সেই হিসেবে খাত দুটিতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তবে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সিরামিক খাত।
এদিকে পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি।
আজ বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। তেমনি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খাত নিরাপদে রয়েছে। বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও শক্তি খাতটিতে পিই রেশিও অবস্থান করেছে ছয় দশমিক ৩০ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে এই খাতের পরেই বিনিয়োগ নিরাপদে অবস্থান রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের পিই রেশিও ছয় দশমিক ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। পিই রেশিও প্রকৌশল খাতের ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট, ওষুধ রসায়ন খাতের ১০ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে এবং বস্ত্র খাতের ১২ দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট অবস্থান করছিল। অপরদিকে সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছিল ৪৪ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই খাতটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থান করেছে।
এদিন খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও সেবা আবাসন খাতে ১২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে ১২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, বিমা খাতে ১৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট, টেলিকম খাতে ১৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট, ভ্রমণ অবকাশ খাতে ১৯ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতে ২০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতে ২০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট, চামড়া খাতে ২৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ৩১ দশমিক ১৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতে ৩৩ দশমিক ৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।