গর্ভাবস্থায় চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

গর্ভাবস্থা প্রত্যেক নারীর জন্য কাঙ্ক্ষিত একটি সময়। আর এই সময়ে দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন। এর প্রভাব ত্বকের পাশাপাশি চুলের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় চুল দুর্বল হয়ে যায়। গোছা গোছা চুল উঠতে থাকে অনেকেরই। এই সময়ই যদি চুলের যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে ফল আরও খারাপ হতে বাধ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সময়ে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন।
– ভিটামিন সি, ডি ও জিঙ্ক চুল পড়া কমায়। এগুলো ছাড়াও ভিটামিন ই এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার নিজের ডায়েটে রাখুন।
– ঘন ঘন চুল ধোবেন না। যদি এই অভ্যাসটা থেকে থাকে তাহলে তা এখন বদলে ফেলুন। এই সময়ে চুলের গোড়া খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহে তিনবার সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলুন।
– চুলের গোড়া যেহেতু এই সময়ে খুবই দুর্বল হয়ে যায়, তাই শক্ত করে চুল বাঁধবেন না। লক্ষ্য রাখবেন কোনোভাবেই যেন চুলে খুব বেশি টান না পড়ে।
– ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল মিশিয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিন হেয়ার মাস্ক। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মেথির পানি দিয়েও চুল ধুতে পারেন। বা আপনার পছন্দের তেল দিয়েও খুব হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন চুলে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়।
– চুল পড়া আটকাতে মেথি খুব ভালো কাজ করে। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করে চুল উজ্জ্বল এবং লম্বা করতে সাহায্য করে। এক কাপ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে তা বেটে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর ওই পেস্ট চুলে এবং মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। পারলে একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এরপর পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। টানা এক মাস সপ্তাহে দুই দিন করে এটি ব্যবহার করলে আপনি পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল, ঘন, লম্বা চুল।
– চুল পড়া রুখতে পারে আমলকিও। এক কাপ নারকেল তেলের মধ্যে ৪ থেকে ৫টি শুকনো আমলকি নিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। তেল কালো হয়ে যাওয়া অবধি ফোটাতে থাকুন। এর পর তা নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার ওই তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দু‘বার এটি ব্যবহার করুন।