বিচ্ছেদ সবসময় বেদনাদায়ক। সেটা হতে পারে প্রিয়জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ বা কারো মৃত্যু। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কখনো কখনো মানুষকে তীব্রভাবে অসহায়, একা করে তোলে। তবে মজার বিষয় হলো, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার সবকিছুর আরোগ্যও হয়। প্রকৃতি যেমন মানুষকে শূন্য করে দেয়, আবার পূর্ণও করে তোলে। তবে মাঝখানের এই সময়টিই কষ্টদায়ক। তবে এই কষ্ট, একাকিত্ব থেকে বের হয়ে আসার কিছু উপায়ও রয়েছে। 

একাকিত্ব দূর করার কিছু উপায় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. কারণ খুঁজে বের করুন

সমাধানের আগে সমস্যাটি খুঁজে বের করুন। কারণ, বের করার পর সম্ভাব্য সমাধানগুলো ভাবুন। আসলে সমাধানের আগে সবার আগে একাকিত্বের মূল কারণটি খুঁজে বের করা খুব জরুরি।

২. সৃজনশীল কাজ করুন 

শোককে শক্তিতে পরিণত করুন। আবেগকে বয়ে যেতে দিন সৃজনশীল কাজের ভেতর দিয়ে। ছবি আঁকুন, গান করুন, নাচতে ইচ্ছে হলে নাচুন। যে কাজটি আপনাকে নতুন করে সৃষ্টি করবে বা সৃষ্টির আনন্দ পাবেন সে কাজটি করুন।

৩. নিজের সঙ্গেও প্রেম করুন

আপনিই হয়ে ওঠুন আপনার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী। নিজের সঙ্গেও প্রেম করুন। একা একা বেড়াতে যান। হতে পারে কোনো রেস্টুরেন্টে বসে কিছু খেলেন বা কোনো পছন্দের জিনিস নিজেকে উপহার দিলেন। সর্বপোরি নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, অনেক ধোঁয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেছে। হালকা লাগছে নিজেকে।

৪. অন্যকে সাহায্য করুন

আশপাশের দিকে তাকান। দেখবেন, আপনার চেয়ে কেউ না কেউ খুব দুঃখি রয়েছে। এর মধ্যেও শ্বাস নিচ্ছে তারা। এ ভাবনাটি ভাবলেও কিন্তু কষ্ট কিছুটা হালকা হয়। একাকিত্ব কাটানোর আরেকটি অন্যতম উপায় হলো, অন্যকে সাহায্য করা। দেখবেন, অন্যকে উপকার করলে নিজের ভেতরেও অনেক শান্তি তৈরি হয়।

৫. প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান

মনের আরোগ্য পেতে প্রকৃতির মতো বড় ওষুধ আর নেই। আর তাই প্রকৃতির কাছে যান। সমুদ্র, পাহাড় বা ধারের কাছের কোনো পার্ক যেকোনো জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। এটি আপনাকে একাকিত্ব দূর করতে কাজ করবে।

৬. পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন 

সেসব বন্ধুদের কাছে যান, যারা আসলেই আপনার জন্য সহযোগী, আপনার প্রাণের বন্ধু। প্রয়োজনে তাদের সাহায্য চান আপনাকে এই যন্ত্রণা থেকে বের করে আনতে।

৭. গান শুনুন

প্রকৃতি যেমন মানুষকে আরোগ্য করে, তেমনি সঙ্গীতও মানুষকে শান্তি দেয়, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পছন্দের গান শুনুন বা শিথিল করে এমন সঙ্গীত শুনতে পারেন।