ভিন্ন স্বাদের কচুর চেইন বড়া

কচু এমন একটি উদ্ভিদ, যেটার পাতা থেকে শুরু করে কাণ্ড, মুখি, লতি সবই খাওয়া যায়। কচুর প্রতিটি অংশে রয়েছে আলাদা আলাদা খাদ্য উপাদান ও পুষ্টিগুণ। কিন্তু কচুর মজাদার বড়া কেউ খেয়েছেন কি? হয়তো না। অবাক হলেও সত্যি যে, মুচমুচে এই বড়াটি খেতে খুবই মজাদার। একবার তৈরি করে খেয়ে দেখুন তাহলে, এটি বাচ্চারাও পছন্দ করবে খুব। চলুন রেসিপিটি দেখে নিই।
যা যা প্রয়োজন
কচুর মালা পাঁচ-ছয়টি, চালের গুঁড়া এক কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, জিরা গুঁড়া এক চা চামচ করে, মরিচ গুঁড়া দুই চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।
যেভাবে করবেন
মানকচুর ওপরের দিকের নরম অংশ কেটে বাদ দিয়ে তার পরের শক্ত অংশ থেকে টুকরাগুলোকে ছিলে নিন। শুধু নিচের শক্ত অংশটি নেবেন। এবার কচু সুন্দরভাবে ছিলে পুরু করে গোল গোল করে কেটে নিতে হবে। এরপর একটি গোল পিসকে আবার মাঝবরাবর দুভাগ করে কাটতে হবে। এবার খুব ধারালো ছুরি দিয়ে যেকোনো এক পাশে দাগ কাটার মতো করে কেটে নিতে হবে। এবার ঠিক যে পাশে কাটা হয়েছে, তার উল্টো পাশে কেটে নিন। তবে দাগগুলো এবার বাঁকা করে দিয়ে কাটবেন। খেয়াল রাখতে হবে, কাটা অংশ যেন খুব গভীর হয়ে কচুর টুকরাটি দুভাগ না হয়ে যায়। মাঝবরাবর পর্যন্ত এসে থেমে যাবেন। সব কাটা হলে মালাগুলোর ওপরে লবণ ছিটিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে হাত দিয়ে চিপে পানি নিংড়ে নিন। এইগুলো এবার নরম হয়েছে। এখন হাতের চাপে চেপে চেপে লম্বা করে রাখুন।
যেভাবে বড়া তৈরি করবেন
চালের গুঁড়ার সঙ্গে বাটা ও গুঁড়া মসলা মিশিয়ে নিন। পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে ব্যাটার করে নিন। ব্যাটার বেশি পাতলাও হবে না, আবার বেশি ঘনও হবে না। ব্যাটার করা হলে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এই ফাঁকে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। ১৫ মিনিট পর একটা একটা করে কচুর মালা ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। তেল ছেঁকে পেপার টাওয়েলের ওপর রাখুন বাড়তি তেল শোষণ করে নেওয়ার জন্য।
গরম গরম পরিবেশন করুন স্ন্যাক্স হিসেবে বিকেলের নাশতায়। অথবা ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন।