পোকার কামড়ে কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

বর্ষার সময়ে পোকার কামড়ে জ্বরের আতঙ্ক বাড়ে। তা ছাড়া নানা রকম পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। পোকা কামড়ের পরে যদি দেখেন ত্বকে জ্বালা বাড়ছে, কামড়ের জায়গা ফুলে উঠে পুঁজ বের হচ্ছে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। বর্ষাকালে এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। এদের কামড়ে জ্বর, খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
ডাস্ট মাইট নামে ছোট ছোট পোকার উৎপাতও বাড়ে এই সময়। এই পোকাগুলি বিছানা, কার্পেট এবং আসবাবে বাসা বাঁধে। এদের কামড়ে ত্বকের অ্যালার্জি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে
অসম্ভব চুলকানি হলে এবং ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। অতিরিক্ত অ্যালার্জিতে চোখ, মুখ, ঠোঁট বা গলার ভিতর ফুলে যাওয়ার লক্ষণও দেখা দেয়। অনেকে বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন।
কামড়ের জায়গায় ঘা
কামড়ের জায়গায় ঘা হলে বা পুঁজ বের হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগালে ক্ষত সারবে না। এমন ক্ষত ফেলে রাখলে তা থেকে ত্বকের গুরুতর সংক্রমণ ঘটতে পারে।
অ্যানাফাইল্যাক্সিস
পোকার কামড়ে গুরুতর অ্যালার্জির সংক্রমণ বা অ্যানাফাইল্যাক্সিস দেখা দিতে পারে। এতে ত্বকে মারাত্মক প্রদাহ শুরু হয়, সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। ঠোঁট, জিভ ফুলে যেতে পারে। রক্তচাপ আচমকা কমে গিয়ে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বমি ভাব, ডায়রিয়াও হতে দেখা যায়।
ত্বকের রং বদল
পোকার কামড়ের জায়গায় ত্বকের স্বাভাবিক রং যদি বদলে যেতে থাকে, চামড়ায় নীলচে বা কালো ছোপ দেখা দেয়, তাহলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না। ওই জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে বিপত্তি হতে পারে।