বাগেরহাটে উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষা বন্ধ, কিট সংকটে বাড়ছে উদ্বেগ

বাগেরহাট জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা পরীক্ষার কিট না থাকায় নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। ফলে উপসর্গ থাকা রোগীদের করোনা পজিটিভ কি না, তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে কিট না থাকায় রোগীদের নমুনা বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল কিংবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কখনও আবার রোগীদের সরাসরি সেখানে গিয়ে পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে কেবল বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে মাত্র ১৫০টি অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট কিট রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। হাসপাতাল চত্বরে ভিড় থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ৩০-৫০ জন রোগী জ্বর, কাশি ও শরীর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তবে কিট না থাকায় তাদের করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
কচুয়া ও মোংলা উপজেলার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও ১৯ জুন পর্যন্ত কোনো কিট পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন রোগীদেরকে খুমেক বা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাগেরহাটে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, স্বল্প কিট থাকায় বাছাই করে শুধু উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিট পেলে সবারই পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. আ স ম মাহবুবুল আলম জানান, বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলার একটিতেও করোনাভাইরাস পরীক্ষার অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট কিট নেই। প্রতিটি উপজেলা থেকে কিট চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিটের স্বল্পতা থাকায় কেউ করোনা পরীক্ষা করতে চাইলে যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের।