কোন বয়সে সিওপিডির ঝুঁকি বেশি?

সিওপিডিকে বলা হয় ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। রোগটি একেবারে ভালো হয় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে লক্ষণগুলো কমিয়ে রাখা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৫৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছ্নে ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সাধারণত কোন বয়সের পর সিওপিডির ঝুঁকিটা বেশি থাকে?
উত্তর : শিশুর অল্প বয়সে হতে পারে যদি তার জিনগত একটি অ্যানজাইম আছে, সেটি যদি তাদের জন্মগতভাবে অ্যানজাইম কম থাকলে তাদের ক্ষেত্রে হতে পারে। এটি ১০০ জনের মধ্যে এক থেকে দুজন। বাকি যে লোকগুলো আছে, তাদের কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে এই রোগ হয়। সাধারণত চল্লিশের পর গিয়ে রোগ প্রকাশ পায়। শুরু হয়তো হয়েছে অনেক আগে।
যত বেশি সিগারেট খাবে, এই রোগের ঝুঁকি তত বেশি থাকবে। প্যাক ইয়ার আমরা বলি। এর মানে হলো যে দৈনিক ২০টি করে সিগারেট যদি কেউ খায়, এক বছর গেলে এক প্যাক ইয়ার বলে। সাধারণত ২০টি প্যাক ইয়ার লাগে সিওপিডি হতে। সে ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সে যদি কেউ সিগারেট শুরু করে, তার ৪০ বছর বয়সে সিওপিডির উপসর্গগুলো দেখা দেয়।