সাধারণত মেকানিক্যাল কোমর ব্যথা ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৩৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আলতাফ হোসেন সরকার। বর্তমানে তিনি লেজার ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : কোমরের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি কতদিন পর্যন্ত দিতে হয়? সেই ক্ষেত্রে রোগীকে কী কী নিয়মকানুন মানতে হবে?

উত্তর : প্রথম হলো যে বেশির ভাগ রোগী আমাদের কাছে আসে অনেক দেরিতে। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। কেউ দুই বছর পরে আসে। আসার পর আমরা যেটা বের করি বেশির ভাগ লোকের দুটো সমস্যা থাকে। একটি হলো পেশির দৃঢ়তা, আরেকটি হলো পেশির দুর্বলতা। এগুলো যাদের থাকে, এগুলো তাদের সারাতে অনেক দেরি হয়। সুতরাং কমপক্ষে তিন চার মাস সাক্ষাৎ করতে হয়। প্রথম দিকে কিছুদিন করার পর রোগীকে শিখিয়ে দেওয়া হয়, এরপর এই বিষয়ে তারা সচেতন হয়ে যায়। তবে পেশির শক্তি আপনাকে বাড়াতে হবে। দৃঢ় পেশিকে লম্বা করতে হবে। আরেকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, যিনি চিকিৎসা করছেন উনি সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারছেন কি না। সঠিক রোগ নির্ণয় না হলে আবার সমস্যা হবে। পেশির শক্তি আপনাকে বাড়াতে হবে। পেছনের পেশিগুলোকে লম্বা করতে হবে। চিকিৎসার মধ্যে এটা প্রচলিত চিকিৎসা। এই টাইট ও দুর্বল পেশি যদি আমি শক্তিশালী না করি, লম্বা না করি তাহলে ভালো থাকবেন না।

আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দেশের লোকেরা বেল্ট ব্যবহার করে, আমি বলব বেল্ট আপনি ব্যবহার করবেন যদি আসলেই সেটি জরুরি হয়। তবে অনেক বছর জরুরি নয়। যখনই আপনি বেল্ট ব্যবহার করেন এই এলাকার পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। সে বেল্টের ওপর নির্ভর করে। আমি বেল্টের বিপক্ষে নই, তবে প্রয়োজনের মধ্যে রেখে ব্যবহার করবেন। দরকার না থাকলে করবেন না। মেকানিক্যাল কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপিই একমাত্র চিকিৎসা।