আর্থোস্কোপিক সার্জারি কখন করা যায় না?

অস্থিসন্ধির চিকিৎসায় আর্থোস্কোপিক সার্জারি করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৩২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ওয়াকিল আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন কোন ক্ষেত্রে আর্থোস্কোপিক সার্জারি করা যাবে না?
উত্তর : শরীরের আশপাশে কোনো জায়গায় যদি কোনো সংক্রমণ থাকে, তাহলে ওই অস্ত্রোপচারটা না করাই ভালো। কারণ ওই ইনফেকশন শরীরের অন্য জায়গায় থাকলেও জয়েন্টের ভেতর চলে আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সেপটিক আরথ্রাইটিস অথবা ইনফেকশনের কারণে, অনেক সময় জয়েন্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি না রাখতে পারে, যদি কোনো ইনজুরি থাকে অনেক সময় আমরা নার্ভের বিষয়টি ঠিক করে এর পর অস্ত্রোপচার করে থাকি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে আর্থোস্কোপিক সার্জারির প্রেক্ষাপট কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশে হাঁটুর যে আর্থোস্কোপিক সার্জারি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এর ফলাফলও আমরা খুব ভালো পাচ্ছি। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের মাঝে ফুটবলার, ক্রিকেটার, সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্য, পুলিশ—এদের মধ্যে আমরা খুব পেয়ে থাকি। এসব ক্ষেত্রে আমরা খুব সফলভাবে এই চিকিৎসা করে যাচ্ছি। কাঁধের যেই জয়েন্ট আছে এরও কিছু চিকিৎসা আমরা বাংলাদেশে শুরু করেছি। এটা স্বল্পপরিসরে। অন্যান্য জয়েন্টগুলোতে আমরা শিগগিরই শুরু করব।
প্রশ্ন : হাঁটু ও কাঁধ ছাড়া আর কোথায় কোথায় এটি করা যাচ্ছে?
উত্তর : উরুর যে জয়েন্ট, গোড়ালির যে জয়েন্ট, সবগুলোতে করার ব্যবস্থা আছে। তবে এখনো সেটি শুরু করার পর্যায়ে।
প্রশ্ন : আর্থোস্কোপি সার্জারির রোগ নির্ণয়ের বিষয়টির ক্ষেত্রে কেমন?
উত্তর : রোগীরা যখন আমাদের কাছে আসে, দেখা যায় থেরাপিউটিক বিষয়টি নিয়ে বেশি আসে। আর্থোস্কোপির ভেতরে ছিদ্র করে দেখতে হয়। রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি কম। তবে থেরাপিউটিক বা চিকিৎসা ব্যবস্থাটা বেশি। কারণ আরো অনেক পদ্ধতি আছে—যেমন এমআরআই করে আমরা বুঝতে পারি। ইনভেসটিভ প্রসিডিওরে গিয়ে রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি আমরা কম করে থাকি। তবে যখন থেরাপিওটিক করে থাকি, তখন সব বিষয় দেখে করি।
প্রশ্ন : লিগামেন্ট ইনজুরির কোন পর্যায়ে গেলে আপনারা এখন চিন্তা করেন যে আর্থোস্কোপিক সার্জারি এখন করা যাবে?
উত্তর : যখন রোগী অনেকটা আঘাতজনিত কারণে, প্রথম দিকে একটু ফোলা বা একটু ব্যথা নিয়ে আসে, পরে ফোলা ও ব্যথা কমে গেলে কিছু কিছু লক্ষণ তারা বলে থাকে। একটু জোরে হাঁটতে গেলে বা দৌড়াতে গেলে পায়ের ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। বলে যে পা খুলে যেতে পারে। উরু বা থাইয়ের মাংসপেশিগুলো চিকন হয়ে থাকে, পা দুর্বল মনে হয়। এ রকম কিছু লক্ষণের কারণে সবসময় একটি ঝুঁকিবোধ করে। বাইরে থেকে বোঝাই যায় না। রোগী নিজেই বোঝে যে সে কী ঝুঁকি বোধ করে। এ রকম হলে বোঝার চেষ্টা করি তার আর্থোস্কোপিক সার্জারি করা দরকার কি না।