খাদ্যে বিষক্রিয়া রোধে করণীয়

রান্নাঘরে আমরা খাবার বানাই। এই খাবারটি যদি বিষাক্ত হয়ে ওঠে, তখন? আপনি কি জানেন, সামান্য একটি ব্যাকটেরিয়াও হয়ে উঠতে পারে আপনার সব খাবারের বিষক্রিয়ার মূল কারণ? এর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাকটেরিয়া হলো ক্যামপাইলোব্যাকটার। সংক্রামক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এই ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে দোকান থেকে কেনা গরু বা মুরগির মাংসের মধ্যে।
অ্যাপ্লাইড মাইক্রোবায়োলোজি জার্নালে এই ব্যাকটেরিয়া রোধের একটি চমৎকার উপায় বলা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, কেবল অসংক্রমিত টিস্যু বা পরিষ্কার টিস্যু ব্যবহার করে রান্নাঘরে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করা যায়। ভারতীয় ওয়েবসাইট এনডিটিভি প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
ক্যামপাইলোব্যাকটার নামের ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলির বাজে অসুখগুলোর একটি অন্যতম কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিরারডো লোপেজ জানান, পোল্ট্রির মাংস রান্না করার সময় রান্না ঘরকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পাশাপাশি হাতও ভালো করে ধুতে হবে।
গবেষকরা বলেন, কাঁচা পোলট্রি মুরগি, যেগুলো সাধারণত সুপার মার্কেট থেকে কেনা হয়, সেগুলোতে ক্যামপাইলোব্যাকটার বাসা বেঁধে থাকে।
আপনি হয় তো এই মুরগির মাংস বাসায় এনে ভালো করে রান্না করলেন। কিন্তু বাসায় আনার পর ও রান্না করার আগে, এই সময়ের মধ্যেই ব্যাকটেরিয়াটি ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার রান্নাঘরের অন্যান্য জায়গায়।
ক্যামপাইলোব্যাকটার ব্যাকটেরিয়ার ফলে বমি, ডায়ারিয়া ইত্যাদি অসুখ হতে পারে। এটি শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এ ছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরও এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মাংসকে কলের নিচে রেখে ধুইলে ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ে। নতুন গবেষণায় বলা হয়, রান্নার প্রস্তুতি এবং রান্না করার সময় পানি দিয়ে ধোয়ার পাশাপাশি পরিষ্কার টিস্যু বা অসংক্রমিত টিস্যু দিয়ে রান্নায় ব্যবহৃত জিনিসগুলো পরিষ্কার করুন এবং রান্নাঘরকে পরিষ্কার করুন। এ থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ অনেকাংশে কমে যাবে। এই নতুন পরিষ্কার বা অসংক্রমিত টিস্যু ব্যবহার আরো অনেক জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
অসংক্রমিত টিস্যুর মধ্যে ব্যবহার করা হয় গ্রেনিট, ল্যামিনেট ও সিরামিক টাইল- যা ৯৯.২ শতাংশ জীবাণু কমাতে সক্ষম।