কীভাবে বুঝবেন শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হচ্ছে?

আয়োডিনের ঘাটতি সারা বিশ্বেই একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা। আয়োডিনের ঘাটতিকে থাইরয়েড সিনড্রমও বলা হয়। এই রোগ শরীরের ওপর বেশ বাজে প্রভাব ফেলে। শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হলে অবসন্নতা, চুলে শুষ্কতা, ঘুম ঘুম ভাব ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে আয়োডিনের ঘাটতির লক্ষণগুলোর কথা।
অবসন্নতা
আয়োডিনের অভাবে অবসন্নতা তৈরি হয়। রোগীরা কোনো কঠিন পরিশ্রম করতে পারে না। এটি এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
পেশি ক্র্যাম্প
অবসন্নতা ছাড়াও ৮০ ভাগ লোক পেশি ক্র্যাম্পের সমস্যায় ভোগে। এতে রোগীর নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়।
শরীর ব্যথা
আয়োডিনের অভাবে শরীর ব্যথা হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবনের পরও এই ব্যথা থাকতে পারে। ব্যথা কখনো কখনো সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
ঝিমুনি বা ঘুম ঘুম ভাব
আয়োডিনের অভাব হলে ঝিমুনি বা ঘুম ঘুম ভাব হয়। এতে কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
ত্বকে চুলকানি
ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে আয়োডিনের অভাবে। এ ছাড়া ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে।
চুলের শুষ্কতা
চুলের শুষ্কতা আয়োডিন ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ। চুলে তেল দিলে হয়তো শুষ্কতা কিছুটা কমে। তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য।
ওজন বাড়ে/কমে
আয়োডিনের অভাবে হয়তো ওজন খুব বেড়ে যেতে পারে। আবার ওজন খুব কমেও যেতে পারে। তবে দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পা ফোলা
পা ফুলে যাওয়াও আয়োডিনের ঘাটতির অন্যতম একটি লক্ষণ। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বন্ধ্যত্ব
শরীরে আয়োডিনের অভাব হলে কখনো কখনো নারীদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের সমস্যা হয়।
স্মৃতিশক্তি কম
স্মৃতিশক্তি কম হওয়া আয়োডিনের ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ। স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।