চুল পড়ার সাত কারণ

চুল পড়া বেশ বিরক্তিকর সমস্যা। কখনো কখনো বংশগত কারণ, বয়স বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে চুল পড়ে। তবে এ ছাড়া কিন্তু বিভিন্ন কারণে চুল অকালেই পড়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে চুল পড়ার কিছু কারণের কথা।
রক্ত স্বল্পতা
শরীরে রক্তের অভাব হলে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। খাবারের মধ্যে আয়রন রাখলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হতে পারে।
কিছু ওষুধ
অনেক সময় কিছু কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। যেমন আরথ্রাইটিস, গাউট, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদির ওষুধগুলোর ক্ষেত্রে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া বিষণ্ণতারোধী কিছু ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ, ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদিও চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। যদি আপনি এসব ওষুধ খেতে থাকেন এবং চুলে কোনো পরিবর্তন খেয়াল করেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু জন্মদানের পর
অনেক সময় গর্ভাবস্থায় বা সন্তান জন্মদানের পর মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। সাধারণ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে
পেশি বাড়ানো বা পেশিকে শক্ত করার পাশাপাশিও আমাদের শরীরে প্রোটিনের অনেক কাজ রয়েছে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে অনেক সময় চুল পড়ে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদরে মতে, দুই থেকে তিন মাস প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়া শুরু হতে পারে।
ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাস
অনেক সময় ভারাস্যাম্যহীন খাদ্যাভ্যাসের কারণে চুল পড়ার সমস্যা হয়। ভিটামিন বি-এর অভাব হলে চুল পড়ে। অপর দিকে খাবারে যদি ভিটামিন এ বেশি হয় তাহলেও চুল পড়ে। চুল ভালো রাখার অন্যতম উপায় হলো ভারাসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস।
ওজন কমা
অনেক সময় ক্র্যাশ ডায়েটের কারণে হঠাৎ করে বেশি ওজন কমে গেলেও চুল পড়তে পারে। এতে চুলে ভিটামিন ও মিনারেল ঠিকঠাকমতো পৌঁছে না। তাই চুল পড়ে।
মানসিক চাপ
অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও চুল পড়ে। তবে ভালো খবর হলো যদি মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ে তবে এটি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। কয়েক মাসের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যাবে।