অতিরিক্ত ওজন কমাতে আইএস সার্জারি

ওজন কমাতে ডায়েট ও ব্যায়ামের পাশাপাশি সার্জারির প্রচলন হয়ে আসছে বেশ কিছু বছর ধরে। সে জন্য রয়েছে অনেক ধরনের সার্জারি। এর মধ্যে একটি গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি। গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি ১০ বছর পরেও ওজনাধিক্যে ভোগা মানুষের ওজন কমিয়ে রাখতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া অনান্য জীবনঘাতী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, গাঁটের রোগ, স্লিপ এপনিয়ার সমস্যাও কমায় এই সার্জারি। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
ইউনিভার্সিটি ভার্জিনিয়া স্কুল অব মেডিসিনের ড. জে হান্টার মেহাফি বলেন, এটা কেবল মানুষের ওজনই কমায় না। এটা শরীরের জন্যও অনেক উপকারী।
এই গ্যাসট্রিক বাইপাসে ওজন কমাতে সার্জনরা পাকস্থলীর অংশ বের করেন এবং অন্ত্রের সঙ্গে একটি নতুন পথ তৈরি করে দেন।
বড় একটি ডাটা ব্যবহার করে ড. মেহাফি ও তাঁর সহকর্মীরা দেখেছেন, ১৯৮৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এক হাজার ৮৭ জন রোগী স্থূলতার জন্য গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি করেন। ১০ বছর পর এঁদের মধ্যে ৬৫১ জন রোগীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী। আর এঁদের বয়স সাধারণত চল্লিশের ওপর।
দেখা গেছে, সার্জারির দুই বছর পর রোগীরা বাড়তি ওজনের ৭৪ ভাগ কমাতে পেরেছেন। ১০ বছরের মধ্যে অন্তত বাড়তি ওজনের ৫০ ভাগের বেশি কমাতে পেরেছেন।
সার্জারির সময় ৪১ ভাগ রোগী ছিলেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, ২৫ ভাগ লোক হৃদরোগ, ৫৯ ভাগ উচ্চ রক্তচাপ, ৩৬ ভাগ লোকের ছিল স্লিপ এপনিয়া।
১০ বছর পর ১৮ ভাগ লোকের কেবল ছিল ডায়াবেটিস। ১৬ ভাগের রয়েছে হৃদরোগ, ৪৭ ভাগের উচ্চ রক্তচাপ এবং ১৬ ভাগ স্লিপ এপনিয়া। গাঁটের রোগ নেমে গেছে ৬১ ভাগ থেকে ৩২ ভাগে। রিফ্লাক্স রোগ নেমে গেছে ৩৮ থেকে ২৯ ভাগে।
‘এর উপকারিতা ব্যাপক’ বলে জানান ইউনির্ভাসিটি অব মিশিগান হেলথ সিস্টেমের ড. আমির গাফেরি। তবে ইনি এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে এসব সার্জারি তখনই ভালোভাবে কাজে লাগে যখন ডায়েট ও ব্যায়াম ঠিকমতো পালন করা হয়।
ড. আমির বলেন, এই গবেষণাটি বর্তমান সময়ের ওজন কমানোর সব সার্জারিকে উপস্থাপন করে না। ওজন কমানোর সার্জারি কেবল পদ্ধতি, সমাধান নয়। যদি সার্জারি করার পর বদভ্যাসগুলোতে আবার ফিরে গেলে কোনো লাভ হবে না। তাই সার্জারিকে সফল করার জন্য ভালো অভ্যাস তৈরি করতে হবে।