রোজায় স্বাস্থ্য
রোজায় পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন

এখন বেশ গরম। এ গরমে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়ে রোজা রাখছেন মুসলমানরা। প্রায় ১৪-১৫ ঘণ্টা খাবার ও পানি ছাড়া থাকতে হচ্ছে সবাইকে। এত দীর্ঘ সময় ধরে পানি পান না করার কারণে অনেকেই পানিশূন্যতায় ভোগেন, অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যাঁরা গরমে বাইরে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ বেশি করেন, তাঁরা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হতে পারেন। পাশাপাশি বৃদ্ধরাও অনেক সময় এ সমস্যার সম্মুখীন হন। ডাইইউরেটিকস যেমন ফ্রুসেমাইড, থায়াজাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন জাতীয় ওষুধ খেলে পানিশূন্যতায় বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বেশি পরিমাণে ঘামলেও দেখা দিতে পারে পানিস্বল্পতা।
যদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে আসে, ঘুম ঘুম বেশি পায়, মাথা ঘোরে ও মাথাব্যথা করে, হৃদস্পন্দন দ্রুত হয় বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে ভুলে যাওয়া শুরু করেন, তাহলে বুঝবেন আপনি পানিস্বল্পতায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পানিস্বল্পতায় আক্রান্ত হলে দেরি না করে রোজা ভেঙে ফেলুন। দ্রুত শরবত পান করুন। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে থাকুন। কেউ যদি রোজা রেখে অচেতন হয়ে পড়েন, তাহলে তার মাথা নিচু করে পা ওপরে তুলে ধরুন। এরপর জ্ঞান ফিরলে প্রচুর পানি পান করান।
পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে হলে ইফতারির পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রচুর পানি পান করুন। ফ্রিজের খুব ঠান্ডা পানি পান করবেন না। ইফতারিতে রাখুন বিভিন্ন প্রকারের শরবত। সেই সঙ্গে শসা, ক্ষীরা, পাকা কলা ও অন্যান্য ফলমূল।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।