আদা চা কেন খাবেন?

ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না খেলে কী হয়? চা শরীরকে সতেজ আর মনকে প্রশান্ত করে। তবে আপনি কি জানেন, চায়ের মধ্যে কয়েক টুকরো আদা যোগ করলে এটি আরো স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। বেশির ভাগ চায়ের দোকানেই আপনি আদা চা পেয়ে যাবেন। অবশ্য চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারেন আদা চা। মনে রাখবেন, লাল বা রং চা বলে পরিচিত যে চা, সেটাতেই আদা যোগ করতে হবে, দুধ চায়ে নয়।
কেন আদা চা স্বাস্থ্যকর—এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে বলা হয়েছে কিছু কথা।
বমিবমি ভাব দূর করে
ভ্রমণের সময় অনেকেরই বমির সমস্যা হয়। ভ্রমণের আগে আদা চা গ্রহণ বমি ভাব ও বমি প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাঁদের এমন সমস্যা আছে, তাঁরা ভ্রমণের আগে এক কাপ চা খেয়ে নিলে বমি থেকে সহসাই মুক্তি পাবেন।
পাকস্থলীর কার্যক্রম ভালো করে
আদা চা খাবারকে ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে। খাদ্য শোষণ বাড়ায়। তাই হজম ভালো করতে খেতে পারেন আদা চা।
প্রদাহরোধী
আদা চায়ের মধ্যে প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে। পেশি ও গাঁটের প্রদাহ প্রতিরোধের জন্য চমৎকার পানীয় এটি।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায়
আদা চা ঠান্ডা কাশি কমাতে ভালো কাজে দেয়, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও প্রতিরোধ করে। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া সমাধানে আদা চা খেয়ে দেখতে পারেন।
রক্ত চলাচল ভালো করে
আদার মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। এতে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা কমতে সাহায্য হয়। আদা আর্টারিতে চর্বি জমে থাকা প্রতিরোধ করে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঋতুস্রাবের সমস্যায়
ঋতুস্রাবের ব্যথায় প্রায় সব নারী কমবেশি ভোগেন। এ সময় আদা চা মধু দিয়ে খেতে পারেন। অনেকটা আরাম পাবেন।
মানসিক চাপ কমায়
আদা চায়ের মধ্যে এমন গুণ রয়েছে যে এটি মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে বলে আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।