স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সেটার প্রভাব পড়ে কর্মক্ষমতার ওপর। কর্মক্ষমতা ভালো না হলে সফলতা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই রয়েছেন যাঁদের কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও স্বাস্থ্য খারাপ থাকার কারণে পিছিয়ে যান। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কর্মক্ষমতা বাড়াতে কিছু উপায়ের কথা। এতে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন, বাড়বে কর্মক্ষমতাও। 

ব্যায়াম করুন  
গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানুষ কর্মক্ষম থাকে। তাই ব্যায়াম করুন। যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বেছে নিন এবং নিয়মিত সেটা করুন। এতে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে এবং কর্মক্ষমতা বাড়বে।   

সকালে ঘুম থেকে দ্রুত উঠুন
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে কর্মক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ভোরে উঠলে আপনি রাতেও তাড়াতাড়ি বিছানায় যাবেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

স্বাস্থ্যকর সকালের নাশতা
নিজেকে সারা দিন কর্মক্ষম রাখতে সকালের নাশতা কোনোভাবেই বাদ দেবেন না। সকালের নাশতার জন্য ওটমিল, কর্নফ্লেক্স, ডিম ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।  

দুপুরের হালকা খাবার
দুপুরের হালকা খাবার গ্রহণ কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভারী খাবার খেলে অলসতা কাজ করে, কর্মক্ষমতা কমে যায়। দুপুরে ঘরে তৈরি হালকা খাবার খান। খাবারটি এমন হতে হবে, যা আপনাকে পেটভর্তি একটি অনুভূতি দেবে এবং পুষ্টিও জোগাবে। 

অফিসে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করুন
আপনার যদি মেডিটেশন করার অভ্যাস থাকে, তবে দিনে অন্তত দুবার করুন। অফিসে যাওয়ার আগে এবং অফিস থেকে ফিরে। কাজের আগে মেডিটেশন করলে এটি আপনার একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি আপনাকে কাজের প্রতিও মনোযোগী করে তুলবে। 

কাজের পর শিথিল থাকুন
কাজ শেষে ঘরে ফিরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এটা আপনাকে ঘুমে সাহায্য করবে এবং সতেজ হয়ে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে।

ক্যাফেইন বেশি খাবেন না
ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার (চা, কফি) শরীরে শক্তি জোগায়। তবে বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ কর্মক্ষমতাকে কমিয়েও দেয়। এর বদলে অন্য কিছু খান। লেবুর শরবত, গ্রিন টি এগুলো খেতে পারেন। 

নিয়মিত খাবার খান
নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে কোনো বেলার খাবার বাদ দেবেন না। নিয়ম মেনে খাবার খান। এমন ধরনের খাবার বাছুন যা ভালোভাবে হজম হবে এবং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।