স্বাস্থ্যগত যে ৫ ভুল আমরা সবাই করি

‘স্বাস্থ্যই সব সুখের মূল’-পুরোনো এই প্রবাদটি আমরা প্রায় সবাই জানি। তবে স্বাস্থ্য আপনাআপনি ভালো হয় না। একে সুস্থ রাখতে হয়, আর সে জন্য মেনে চলতে কিছু নিয়ম। সেখানেই আমরা করি ভুল। কিছু কিছু ভুল এমনই, যা প্রায় আমরা সবাই করে থাকি। এই ভুলগুলোর কারণে আমাদের স্বাস্থ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন পাঁচটি ভুলের কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. ফ্লসিং না করা
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা সুতা বা এ জাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে পরিষ্কার করাকে সাধারণত ফ্লসিং বলা হয়। দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কেবল ব্রাশ করলেই চলবে না, ফ্লসিং করাও জরুরি। নয়তো ময়লা জমে একপর্যায়ে দাঁতে প্লাক (নরম এবং চটচটে একধরনের জিনিস) তৈরি হতে পারে। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া হয়। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া কেবল দাঁতকেই নয়, রক্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ তৈরি করে। এর ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে য়ায়। প্রতিদিন অন্তত একবার ফ্লসিং করুন।
২. ভারী হাত ব্যাগ বহন
বড় ব্যাগ বহন করা হয়তো অনেক নারীর কাছেই ফ্যাশনের অনুসঙ্গ। তবে এ থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। পিঠ, কাঁধ এবং ঘাড় ব্যথার কারণ হতে পারে এই অভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারী হাতব্যাগের ব্যবহার ডিস্ক ডিজেনারেশন, ঘাড়ের সমস্যা, আরথ্রাইটিস ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই বড় ব্যাগ একেবারে ছাড়া সম্ভব না হলেও, চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন ছোট হাতব্যাগ ব্যবহার করতে।
৩. না ঘুমানো
আপনি যদি ভাবেন ঘুম সময় নষ্ট করে, তাহলে কিন্তু অচিরেই বিপদে পড়তে পারেন! শরীরকে পরবর্তী দিনের জন্য কর্মক্ষম করে তুলতে ঘুম খুবই জরুরি। আপনি যতই স্বাস্থ্যবান হোন আর নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ঘুম কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। যারা ঘুমায় না; তারা স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
৪. সকালের নাশতা বাদ দেওয়া
অনেকেই রয়েছেন যারা সকালে একেবারেই খেতে চান না। এটা খুব বাজে অভ্যাস। সকালের নাশতা না করার মানে হচ্ছে দিন শুরু করছেন কম শক্তি নিয়ে। এরপর যখন বেলা গড়াতে শুরু করে, আর খুব বেশি ক্ষুধা লাগিয়ে খাবার খাওয়ার হয়, তখন শরীরে বেশি মেদ জমা হয়।
৫. অতিরিক্ত ব্যায়াম
অতিরিক্ত ব্যায়াম অনেক সময় শরীরের গঠন আকর্ষণীয় করতে পারে। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত করা ভালো নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম অনেক সময় হরমোনাল পরিবর্তন ঘটিয়ে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়, পেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, পিঠ অথবা হাঁটু ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই সবকিছুই একটি সীমার মধ্যে রাখুন।