ঈদ হোক ব্যথামুক্ত

মুসলমানদের প্রতি বছর দুটি ধর্মীয় উৎসব রয়েছে; যার মধ্যে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ অন্যতম। ঈদের এই খুশির সময়ও শরীরের কোথাও সামান্য ব্যথা পণ্ড করে দিতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের ঈদ আনন্দকে।
যাঁদের আগে থেকে কাঁধের ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা যাঁরা কোরবানির পশুর মাংস কাটাকাটি করেন তাঁরা সাধারণত কাঁধের ব্যথায় ভুগে থাকেন। এই ব্যথাকে গুরুত্ব না দিলে আস্তে আস্তে কাঁধ শক্ত হয়ে ফ্রোজেন সোল্ডারে পরিণত হয়। অতএব এটা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোরবানির মাংস রান্না করতে গিয়ে বারবার নাড়ানি দিয়ে নাড়তে গিয়ে কনুই ব্যথার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মহিলারা এই ধরনের সমস্যায় বেশি ভুগেন। যা পরবর্তীকালে টেনিস এলবোতে পরিণত হয়। এই সমস্যা প্রতিরোধে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং রান্নার সময় হাতে এলবো ব্যান্ড ব্যবহার করতে হবে।এ ছাড়া যাঁরা কোমর বা ঘাড় ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের জন্যও চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু নিয়মাবলি ও নির্দেশিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে। কেননা কোরবানির এই ঈদের সময় মাংস কাটাকাটিসহ বাড়তি কাজ বেশি থাকে।
ঈদের নামাজ জামায়াতে আদায় করা অন্যরকম প্রশান্তির বিষয়। তবে যারা হাঁটু ব্যথায় ভুগছেন, নিচে বসে নামাজ পড়তে পারেন না, চেয়ারে বসে নামাজ পড়েন তাদের জন্য এটা একটু কষ্টের। তাই জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য সঠিকভাবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়া সম্ভব হবে।
তাই ঈদকে ব্যথামুক্ত আনন্দদায়ক করার জন্য, যাঁরা বিভিন্ন ধরনের ব্যথায় ভুগছেন তাঁরা আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করুন।
লেখক : বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফজিওিথেরাপি হাসপাতাল