বয়স ৩০ হলে যে রক্ত পরীক্ষাগুলো করবেন

অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার, কায়িক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপ এসব কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, ৩০ বছরের পর অবশ্যই অন্তত পাঁচটি রক্ত পরীক্ষা নিয়মিত করা জরুরি।
যদি আপনার ৩০ বছর হয়ে যায়, তবে স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার জন্য এবং ভালো স্বাস্থ্য পেতে অবশ্যই এই পরীক্ষাগুলো করুন। বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এই রক্ত পরীক্ষারগুলোর কথা।
১. ডায়াবেটিস
নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য ৩০ বছরের পর অবশ্যই ডায়াবেটিসের পরীক্ষা জরুরি। যেসব নারী ওজনাধিক্যের সমস্যায় ভুগছেন এবং সন্তানসম্ভবা, তাঁদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের এফপিজি, ওজিটি এবং এইচবিএওয়ানসি অথবা গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট করা জরুরি।
২. থাইরয়েড
৩০ বছরের পর থাইরয়েডগ্রন্থির পরীক্ষা করা জরুরি, বিশেষত নারীর ক্ষেত্রে। শরীরে হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপো থাইরয়েডিজম, থাইরয়েড ক্যানসার, থাইরয়েডিটিস আছে কি না এসব দেখতেই এই পরীক্ষা। এগুলো দেখতে টিএসএইচ, এফটিফোর, এফটিথ্রি, টিপিও, মাইক্রোসোমাল অ্যান্টিবোডি এবং এটিএ থাইরোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।
৩. এনিমিয়া
রক্তে ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড অথবা আয়রনের অভাব হলে এনিমিয়ার সমস্যা হয়। রক্ত ভালো আছে কি না জানতে এ বিষয়ে ছয়টি পরীক্ষা করা জরুরি। এগুলো হলো : কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি), ভিটামিন বি১২ টেস্ট, সিরাম আয়রন টেস্ট, টিআইবিসি (টোটাল আয়রন বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি), ট্রান্স ফেরিন এবং আয়রন স্যাটুরেশন টেস্ট।
৪. সিবিসি টেস্ট
সিবিসি টেস্ট বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট ৩০ বছর বয়স হলে অন্তত প্রতিবছর একবার হলেও করা জরুরি। সিবিসি চেকআপের মাধ্যমে শরীরের হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা (সেল) এবং প্লেটলেট গণনা করা হয়। রক্তের কী অবস্থা এটি বুঝতে এই পরীক্ষা করা হয়।
৫. এসটিডি
এইচিআইভি পরীক্ষা করা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে কিছু সময় হয়তো বেশি বাঁচা যায়। সাধারণত এইচআইভি/ এইডস, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, হারপেস, ক্ল্যামাই্ডিয়া এবং গনোরিয়া রোগে এসটিডি পরীক্ষা করা হয়।