শিশুর বিছানা ভেজানো : মা-বাবারও প্রয়োজন কাউন্সেলিং

শিশুর বিছানা ভেজানোর সমস্যায় মা-বাবা খুব চিন্তিত থাকেন। অনেক সময় তাঁরা শিশুকে তিরস্কার করেন। তবে বিষয়টি ঠিক নয়। এতে শিশুর আত্মসম্মানবোধে আঘাত লাগে। তাই বিষয়টি সামলানোর জন্য মা-বাবারও কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৯৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আহমেদ নাজমুল আনাম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুর বিছানা ভেজানোর সমস্যায় কী ধরনের কাউন্সেলিং আপনারা মা-বাবাকে দেন?
উত্তর : আমরা প্রথমে মা-বাবাকে বলব, আপনারা কারো সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবেন না। বাচ্চা ভয়ে থাকে যে এই জিনিসটি সবাই জানছে, তার বন্ধুবান্ধব জানছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মা-বাবাকে না করব এগুলো শেয়ার করতে। কারণ, এটি স্বাভাবিক। এটি ভালো হয়ে যাবে। আরেকটি হলো তাকে কোনো শাস্তি দেবেন না। শাস্তি দিলে তার আত্মসম্মান মারাত্মক আঘাতগ্রস্ত হবে। তাহলে এই জিনিসটি আরো বেড়ে যাবে।
বরং যেদিন সে বিছানা ভেজাল না, সেদিন তাকে উপহার দিতে পারেন, কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন। এতে শিশু ভয়হীন থাকবে।
প্রশ্ন : অনেক সময় তো মা-বাবা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠেন। সেটি যেন না হয় সে জন্য মা-বাবা কী করবেন?
উত্তর : আমরা অবশ্যই বলব, আপনি প্লিজ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করেন। আপনি নিশ্চিত থাকেন, এটি ভালো হয়ে যাবে। খারাপ লাগা থেকে সে যেন আরো বিষণ্ণ না হয়ে যায়, তাকে আপনি সেই সাহায্য করেন। তাকে যদি শাস্তি দেন, তিরস্কার করেন, বিষয়টি আরো বেড়ে যাবে।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের সমস্যা তাতে হতে পারে?
উত্তর : বাচ্চারা যেটা করে, সে আর কারো সঙ্গে মিশতে চায় না। সে নিজের ভেতর নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। তার পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। স্কুলে সে খারাপ করা শুরু করে। মূল সমস্যা হলো সে তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আগের মতো আর মিশতে পারে না। এতে নিজের ভেতরে সে ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এই জিনিসটি আরো বাড়তে থাকে।