কান পরিষ্কারের দরকার আছে কি?

অনেকে কান পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে থাকে। এর দরকার আছে কি? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৬৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমীন। বর্তমানে তিনি বারডেম ও ইম্পাল্স হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যেকারো কানে পানি গেলেই কি কান পাকে? কাদের বেলায় কান পাকবে?
উত্তর : যেটা দীর্ঘমেয়াদি কানপাকা সেটাতে কানের পর্দা বার বার করে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, হতে হতে ফেটে গেল, অথবা সবসময় কানপাকা থাকছে- এই ক্ষেত্রে কানে একটি ফুটো থাকে। এই ফুটো যদি থেকে যায়, তাহলে সেখানে পানি গেলে কানের আবার ক্ষতি হবে। কান পাকবে। এটাই হলো প্রধান সমস্যা।
তবে বার বার করে যে কানপাকা হচ্ছে, কানে ফুটো থাকছে- এতে কানে পানি গেলে কান বেশি পাকে। এতে কানে সংক্রমণ হয়।
প্রশ্ন : কান পাকার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকে মনে করে কান পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাই ভ্রাম্যমাণ অনেকের কাছে গিয়ে কান পরিষ্কার করে- এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? এটা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে?
উত্তর : মানুষের চেয়ে জীবজন্তু অনেক বেশি শোনে। তাদের কান কে পরিষ্কার করে দেয়? আমরা আসলে হয়তো বিজ্ঞানটি বুঝতে চাচ্ছি না। কান আল্লাহ বানিয়ে দিয়েছেন, পরিষ্কার করার পদ্ধতিও বানিয়ে দিয়েছেন। এটা থেকে স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কান শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকের কানের মধ্যে খুশকির মতো একটি জিনিস গজায়। এতে বেশি করে কানে ময়লা জমে। কান চুলকায় এবং কানগুলো পরিষ্কার হতে চায় না। আরেকটি হলো বয়স হলে কানের মধ্যে লোম জমে। তখন লোম হওয়ার জন্য কানের ময়লাটা পরিষ্কার হয় না। তবে আসলে কানের ময়লা এমনিতেই পরিষ্কার হবে।
আপনি যা করতে পারেন, কানের মধ্যে যেকোনো তেল দুই এক ফোঁটা দিতে পারেন; অলিভওয়েল হলে ভালো হয় হয়তো। তবে সরিষার তেল, নারকেল তেল- ভেজাল মুক্ত যেকোনো তেল দিতে পারেন।
আবার তেল গরম করে কানে দেওয়া যাবে না। এতে কানের ক্ষতি হতে পারে। স্বাভাবিক তেল দিতে পারেন। এতে কানের ময়লা বের হওয়ার যে স্বাভাবিক প্রবণতা আছে সেটি ঠিক থাকবে।