খেজুর সহজলভ্য। এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

খেজুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি; ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার ও আয়রন। তিন-চারটি বা ৩০ গ্রাম খেজুরে ক্যালোরি থাকে ৯০ গ্রাম, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার। ফ্রুকটোজ, গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ এই ফল শক্তি বা অ্যানার্জির অন্যতম উৎস। ভিটামিন বি-৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম তাজা খেজুরে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা থেকে ২৩০ ক্যালোরি (৯৬০ জুল) শক্তি উৎপাদন করে। পাকা খেজুরে প্রায় ৮০ শতাংশ শর্করা জাতীয় উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া খনিজ সমৃদ্ধ খেজুরে কোবাল্ট, বোরন, ফ্লুরিন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে। এ জন্য প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

খেজুর দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। এ ছাড়া লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যাতেও ডায়েটে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। শরীরে গ্লুকোজের অভাব দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে খেজুর।