চোখ আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখের যত্নে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে চোখের যত্নে খাবারের গুরুত্বের কথা জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ছাঈদা লিয়াকত। তিনি বলেন, ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ আমরা উদ্ভিজ ও প্রাণীজ দুই উৎস থেকেই পেয়ে থাকি। আমাদের চারপাশের সবুজ-হলুদ রঙের শাকসবজি-ফলমূল থেকে আমরা ভিটামিন এ পাই। আমরা যখন শাকসবজি থেকে ভিটামিন এ গ্রহণ করি, তা বিটা ক্যারোটিন হিসেবে আমাদের শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয় এবং এটি তারপর গিয়ে রেটিনাতে পৌঁছে চোখের দৃষ্টিশক্তিকে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদ ছাঈদা লিয়াকত বলেন, চোখের যত্নে গাজরের ভূমিকা না বললেই নয় এবং মিষ্টিকুমড়াও এর সাথে জড়িত। গাজর-মিষ্টিকুমড়ায় বিটা ক্যারোটিন প্রচুর রয়েছে। গাজর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। মিষ্টিকুমড়াও রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন যদি আমরা একটি করে ডিম খাই... ডিমের বায়োলজিক্যাল ভ্যালু অনেক বেশি। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, ভিটামিন এ এবং নানা রকমের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ডিম যদি প্রতিদিন একটি করে গ্রহণ করা হয়, দেখা যায় যে বয়সকালে মেকুলার ডিজেনারেটিভ ডিজিজটা হয়, সেটি কিন্তু রোধ হয়। ডিম আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই চোখের ছানি পড়া রোধেও কিন্তু সাহায্য করে।

আমরা যদি মিষ্টি আলু গ্রহণ করি, মিষ্টি আলু থেকেও ভিটামিন এ পাই, চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর সবুজ শাকসবজির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের বিভিন্ন রকম রোগ থেকে যেমন রক্ষা করে, তেমনই আমাদের সূর্যের বেগুনি রশ্মি যে আমাদের চোখের ক্ষতি করে, তা থেকেও কিন্তু সবুজ শাকসবজি আমাদের রক্ষা করে। কাজেই চোখের যত্নে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের সবুজ শাকসবজি, ফলমূল গ্রহণ করতে হবে এবং শিশুদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে তারা যেন প্রতিদিন মৌসুম অনুযায়ী শাকসবজি, ফলমূল গ্রহণ করে। তাহলে দেখা যাবে তাদের চোখ অনেক সুস্থ থাকবে এবং বয়স্করা অবশ্যই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যদি শরীরে অন্য কোনোরকম সমস্যা না থাকে, তাঁরা ডিম খাবেন।