অবশেষে দায়িত্ব পাওয়ার দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী ৫ অক্টোবর হল খোলার পরেই এই কমিটি দেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তাঁরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ হল কমিটি হয় ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ওইদিন এক বছরের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগের ১৮টি হল শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। অর্থাৎ হল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি উল্লেখ করে  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে আমরা কমিটি দিতে পারিনি। আমরা চাইব ৫ অক্টোবর হল খোলার পর যত দ্রুত সম্ভব, যারা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছে, আমরা তাদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। পরবর্তী সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’

সনজিত চন্দ্র দাস আরও বলেন, ‘হল খোলার পর কমিটি দিতে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিক হবো এবং আপনারাও (সাংবাদিকবৃন্দ) আন্তরিক হবেন। আপনারা যে অসঙ্গতিগুলো আছে, সেগুলো তুলে ধরবেন, এ ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’

সব ধরণের প্রস্তুতি উল্লেখ আছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন।  ক্যাম্পাস খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই হলের কমিটি দিয়ে দেব। যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন করছেন তাদের হাতে আমি দায়িত্ব তুলে দেব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে, শুধুমাত্র খোলার অপেক্ষায় আছি। আমরা প্রত্যাশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা কমিটি দিতে পারব।’