দেশে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন : তারেক রহমান

দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আপনারা নিরাপদে আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।’
উৎসাহ-উদ্দীপনাসহ নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারা দেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেওয়া আজ বুধবার (১ অক্টোবর) এক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায় এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তার এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিরাপদে আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি ও আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে—ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র ও সংবিধানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী ও সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
পবিত্র হাদিসের নির্দেশনা উদ্ধৃত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, এ ধরনের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তাঁর উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন- ‘কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব’।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।
শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ থাকার জন্য তারেক রহমান দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।