দুর্গাপূজায় সব ধরনের গুজব থেকে সাবধান থাকতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

দূর্গাপূজার সময় সব ধরনের গুজব থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো একটি ঘটনা দেখলেই যেন আমরা প্রতিক্রিয়া না দেখাই। সেটা সঠিক কি-না যাচাই করতে হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখানে বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা কর্তৃক আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, কারও একটি ছোট ভুলের কারণে যাতে পূজামণ্ডপে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না হয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে সবাই মণ্ডপে পূজা উদযাপন করবেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের নিজেদের কোনো অভিলাস বা পছন্দ নাই। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করে আগামীতে একটি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নিরাপদ সরকার গঠন করতে চাই। যার মাধ্যমে দেশের সবাই সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সমানভাবে ভোগ করতে পারবে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, এবারে পূজার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করতে পারে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেজন্য ইতোমধ্যে পূজার নিরাপত্তা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা নিয়ে নিজের স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, এইটা শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান নয়, এটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান।
ছোটবেলায় আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে বাতাসা, মোয়ার লোভে ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে বাড়ির পাশে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ছুটে যেতাম। আমরা তখন পূজাকে সমান মর্যাদায়, সমান মাত্রায় উপভোগ করতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেটি অনেকটা লোপ পেয়েছে। এটির পেছনে প্রযুক্তির ছোঁয়াসহ নানা কারণ বিদ্যমান। আগে আমাদের সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ ছিল বর্তমানে সেটি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শ্রী দীপক কুমার পালিত, পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্যামল কুমার পালিত, সদস্য অধ্যাপক শ্রী নারায়ণ চৌধুরী প্রমুখ।