‘দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেবে না সেনাবাহিনী’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের ১৫ ইস্টবেঙ্গল ম্যাকানাইসডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেছেন, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন ব্যক্তি বা দল অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা দমন করা হবে। অপরাধীরা যে দল বা গোষ্ঠীরই হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
রাজধানীর কাবাডি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুরোহিত, পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান এসব কথা বলেন।
এসময় মন্দিরের বাইরে পুলিশ আনসারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান কামরুল হাসান। এরপর ডেমরা ও ওয়ারীর কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। দুর্গাপূজা ঘিরে এবারও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাসদস্যরাও কাজ করবেন। গতকাল বুধবার থেকেই মাঠে নেমেছেন তারা। দুর্গোৎসব চলার সময়ে গুজব ছড়িয়ে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ‘তাৎক্ষণিক অ্যাকশন’ নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর এলাকায় গত বছর ২৫২টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়েছিল। এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ২৫৮টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।