আরপিও সংশোধনে প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ বৈঠকে ইসি

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত চলছিল। বৈঠক শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা শুরু হয়। এতে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে—
(১) রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫, (২) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও (৩) বিবিধ।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি আরপিওর সঙ্গে সমন্বয় রেখে আচরণ বিধিমালাও চূড়ান্ত করা হতে পারে।
আরপিওর সংশোধন প্রস্তাবের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছোটোখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এই সংশোধনীতে। এছাড়া আচরণবিধিতে এআইয়ের অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিওতে যুক্ত করা হতে পারে।
জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।