তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে পিবিআই-ইসি

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে একযোগে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্যদিকে পিবিআইয়ের অনুরোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ দেশের সব জেলা প্রশাসককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পিবিআই ইসির কাছে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্য ইতোমধ্যেই চেয়েছে। এবার তারা ওইসব নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে।
ইসির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পিবিআই-এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ও মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
পিবিআই এ তথ্য চেয়েছে মূলত একটি মামলা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচনের সময়কার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কার্যক্রম ও ভূমিকা পর্যবেক্ষণের জন্য এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, পিবিআই ওই তিনটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছিল। বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চাওয়া সেই অনুসন্ধানের একটি পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও জানান, আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্যপ্রাপ্তির পর তা যথাসময়ে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা সময়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে— বিশেষত নির্বাচন পরিচালনার নিরপেক্ষতা ও সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগ ঘিরে। এসব প্রেক্ষাপটে পিবিআই-এর তদন্তে নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।