প্রেমের টানে জীবননগরে মালয়েশিয়ান তরুণী, উৎসুক জনতার ভিড়

ভালোবাসার টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন স্মৃতিনূর আতিকা (৩০) নামের এক তরুণী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রিংকু রহমানকে (৩২) ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন আতিকা।
এই ভিন্নধর্মী প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল মালয়েশিয়াতেই, যেখানে রিংকু রহমান কাজ করতেন। সেখানেই তাদের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ধীরে ধীরে প্রেম। সেই প্রেমের টানেই আতিকা তার নিজের দেশ ছেড়ে রিংকুর হাত ধরে এসেছেন বাংলাদেশে, নতুন জীবন শুরু করার জন্য।
ভিনদেশি পুত্রবধূকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। একনজর দেখতে রোববার (৩ আগস্ট) সকাল থেকেই ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান আতিকা। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রিংকু ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের উথলী গ্রামে।
রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজে যান। সেখানেই পরিচয় হয় আতিকার সঙ্গে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়ে ও প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। অবশেষে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রিংকু বলেন, আমি ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। এর মধ্যে তিন মাস কেটে গেছে। আমার সঙ্গে ওরও বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল। যখন আমি বাড়িতে, তখন ও এসেছে। ছুটি শেষে আমরা আবার এক সঙ্গে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাব।
এ বিষয়ে রিংকুর বাবা জিনারুল মল্লিক বলেন, ছেলের পছন্দকে আমরা সম্মান জানিয়েছি। পুত্রবধূ ভিনদেশি হলেও আমাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলেমিশে যাচ্ছে। ঘরের কাজকর্মেও সে খুব আন্তরিক।
স্মৃতিনূর আতিকার আগমন নিয়ে উথলী গ্রামে দেখা দিয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। গ্রামীণ জনপদে একজন বিদেশি পুত্রবধূর উপস্থিতি স্থানীয়দের মাঝে উৎসাহ ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তাকে এক নজর দেখতে রিংকুর বাড়িতে ভিড় করছেন।