তিন বছরেও সংস্কার হয়নি জগন্নাথপুরের ৭০ কিলোমিটার সড়ক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়ক এখনও সংস্কার হয়নি। ২০২২ সালের বন্যায় উপজেলায় মোট ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে মাত্র ১২ কিলোমিটারে আংশিক কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি সেতুর টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর বড় অংশ সংস্কারের অনুমোদন না পাওয়ায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কলকলিয়া, মিরপুর, রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের বহু সড়ক বেহাল। এসব সড়কে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাটি ও ইটের কার্পেটিং করা অনেক সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন বছরেও সড়ক সংস্কার হয়নি। বাধ্য হয়েই কষ্ট করে চলাচল করছি।’ একই অভিযোগ মিরপুরের হাসন আলী ও রানীগঞ্জের আলমগীর মিয়ারও।
রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, ভাটির সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী। সংস্কারের অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ২০২২ সালে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ও কয়েকটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে বছরই এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করে সংস্কারের জন্য সদরদপ্তরে পাঠাই, যাতে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, যেহেতু সিলেট বিভাগসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সবকটি জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রকল্প চালু করতে করতে ২০২৩ সাল চলে আসে। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯টি সেতু ও কিছু সড়ক সংস্কারের অনুমোদন পায়। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্যেই ২০২৪ সালের বন্যা চলে আসে। বন্যার কারণে সড়কগুলোর সংস্কারকাজ আমরা পুরোদমে শুরু করতে পারিনি।
তিনি জানান, ২০২৫ সালে বেশ কিছু সংস্কার কাজ অনুমোদিত হয়ে এসেছে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি। পৌরসভাসহ উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার, জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ সড়কে ২.৫ কিলোমিটার, জগন্নাথপুর-কেশবপুর হয়ে এড়ালিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে, এড়ালিয়া থেকে লামা রসুলপুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে।