হাওর মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত করা হবে : উপদেষ্টা

হাওর মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের সময় সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে তারপর তা চূড়ান্ত করা হবে। সোমবার (৩০ জুলাই) ঢাকায় পানি ভবনে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
‘হাওর মহাপরিকল্পনা মূল্যায়ন ও হালনাগাদকরণের জন্য সমন্বিত সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের ফলাফল নিয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৩৭১টি হাওরের সীমানা নির্ধারণ করা উচিত। সীমানা চিহ্নিত করার পর এগুলোকে জলাধার-কেন্দ্রিক জীবন্ত সত্তা হিসেবে প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, হাওরের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য একেক রকম; কোনো হাওরে প্রচুর মাছ হয়, আবার কোনো হাওরে শুধু ধান চাষ হয়।
উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যেন হাওরের মহাপরিকল্পনাটি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে এমন সহজ ভাষায় তৈরি করা হয়। তিনি হাওরকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ও ‘আমাদের একটা নিজস্ব ইকো সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর ‘গ্লোবাল হেরিটেজের’ সম্মান পেয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, হাওরগুলো বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হাওর পর্যটনের জন্য বেশি পরিচিতি পেয়েছে। পর্যটনের কারণে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার ওপর কিছুটা প্রভাব পড়ছিল, তবে স্থানীয় প্রশাসনের আইনের সঠিক প্রয়োগের ফলে এখন তা শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা হাওরের স্থানীয় মানুষজনকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন, হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ও দূষণরোধে হাওরের জমি বিক্রি বন্ধ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ না করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, হাওরের জন্য ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্ট'স’ (করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াবলি) খুব পরিষ্কারভাবে বলে দিতে হবে। হাওরে মানুষ কী করতে পারবে আর কী করতে পারবে না, এসব নির্দেশনা স্থানীয়দের সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান।