জামায়াত নেতা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কবর জিয়ারতে যাওয়ার পথে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর খড়খড়িতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটির ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের জুয়েল আহমেদ, নাসিম উদ্দিন ও মিজানুর রহমান।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে খড়খড়ি বাইপাস সড়কে একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে পিরোজপুরগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটি পেছনে থাকা আরও একটি বাসে ধাক্কা দেয়। এতে দ্বিতীয় বাসটির এক পাশ দুমড়েমুচড়ে যায়। যাত্রীরা দ্রুত নেমে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে, ঘটনাস্থল থেকে তারা কোনো মরদেহ পাননি।

রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ‌‌দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রয়াত জামায়াত নেতা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কবর জিয়ারত করতে তারা পিরোজপুর যাচ্ছিলেন।

রাতেই রাজশাহীর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ দুর্ঘটনাস্থল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে রয়েছেন— রফিকুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম,  মতিউর রহমান, আমান উল্লাহ, মাইনুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, খালিদ উমর, আব্দুল হালিম, এমারুল হক, সায়েম হোসেন, রজত আলী, মামুন হোসেন, গোলাম নবি, টিপু সুলতান, নাইমুল হক, রজদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ট্রাক ড্রাইভার মিরাজ মোল্লা, মিলন হোসেন, রেফাজুল ইসলাম, উমর ফারুক, ইব্রাহীম হোসেন, জামাল উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, ইসরাফিল আলম, বুলবুল আহমেদ, মাহতাব উদ্দিন, সুমন, জিয়াউল ইসলাম, আমান উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ইলিয়াস আলী, দেলোয়ার হোসেন, বুলবুল হোসেন, আব্দুল কাদের, শামিম, আব্দুস সামাদ এবং আব্দুল মুতালেব হোসেন।