মানিকগঞ্জে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে নিজ গ্রামে বিক্ষোভ

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ এনে তাঁর নিজ গ্রামে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের বিলপৌলী গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এসব কর্মসূচি থেকে স্থানীয় লোকজন জহিরুল ইসলামের হাত থেকে সাধারণ মানুষজনকে রক্ষা করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
বিলপৌলী গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম বিলপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের পর অন্য দাতা সদস্যদের কাছ থেকে জমি লিখে নিয়ে প্রতারণা করে শেষ পর্যন্ত নিজে দাতা সদস্য হয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জহিরুল ইসলাম ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে রিক্তা নামের এক নারীর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করাচ্ছেন।
এ ছাড়া জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্রেতার কাছে জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে তাঁদের জমি নিবন্ধন না করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই জমি দুজনের কাছে দুবার বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাঠাগারের জমি আত্মসাৎ করার।
জহিরুলের ভাতিজা রবিউল আলম জানান, তাঁর চাচার অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২০ অক্টোবর জেলা বারে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ দেওয়ার কারণে তিনি এলাকার মানুষদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তাঁর মায়ের নামে ২২ শতাংশ জমি স্থানীয় মসজিদের নামে লিখে দেওয়ার পরও জহিরুল ইসলাম তাঁর ভগ্নিপতি আবদুল হালিমকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে ওই জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগ অসত্য। পরিবারের সিদ্ধান্তে তাঁর বাবার নামে ১৮ শতাংশ জমিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের ছেলেকে স্কুলের নামে দান করা জমির পরিবর্তে অন্য স্থানে জমি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা না করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে দরখাস্ত করছে।