কর না দেওয়ায় শতাধিক দোকানে তালা!

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরের গাজী কমপ্লেক্সের শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ১১তলা বিশিষ্ট এ ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত শতাধিক প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়।
কর পরিশোধ না করায় পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকনের নির্দেশে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা ঠিকমতোই কর পরিশোধ করেছেন। মেয়রের প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে তাদের প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। আজ বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
পৌরসভার একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজী কমপ্লেক্সে তিন শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে দুই শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের কাছে গত ৬-৭ বছরে পৌরসভার প্রায় ২০ লাখ টাকা কর বকেয়া রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার কর পরিশোধ করতে তাগিদ দিলেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেননি। এজন্য আজ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম সাদেক, প্রশাসক (পরিচালক) রিনা রানী রায় ও কর আদায়কারী এজাজ হোসেন কর্মচারীদের নিয়ে কমপ্লেক্সের শতাধিক দোকানে তালা দিয়ে দেন। এরমধ্যে বেশির ভাগ দোকানই গার্মেন্টস ও কসমেটিকসের দোকান রয়েছে।
পৌরসভার কর আদায়কারী এজাজ হোসেন বলেন, নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা কর পরিশোধ না করায় মেয়রের নির্দেশে তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আইনসম্মত না হলেও তাদের ভয়-ভীতি দেখানোর জন্যই মূলত তালা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
অবশ্য গাজী কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মাহমুদ কামাল কর পরিশোধ না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিবি বলেন, সব ব্যবসা- প্রতিষ্ঠানের কর পরিশোধ রয়েছে। প্রতিহিংসার কারণে মেয়রের নির্দেশেই ৩০-৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারী গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বিনা নোটিশে হঠাৎ তালা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে, কর পরিশোধে ব্যর্থদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়ার বিধান রয়েছে দাবি করে রায়পুর পৌরসভার মেয়র ইসমাইল খোকন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিহিংসা নয়, কর আদায়ের লক্ষ্যে এটি করা হয়েছে।