শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তর বিরুদ্ধে আবেদন করা তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। অপর একটি মামলার বিষয়ে আগামী শনিবার আদেশ দেওয়া হবে।
শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে তিনটি মামলার আবেদন করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধরের মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মামলাটির আদেশ আগামী শনিবার দেবেন আদালত।
আজ বিকেলে শুনানি শেষে দুটি মামলা খারিজের আদেশ দেন নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গত ৮ ও ১৩ মে ছাত্র রিফাত হাসানকে মারধরের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন রিফাত হাসানের মা রিনা বেগম।
আরেকটি মামলায় বন্দর কল্যান্দি এলাকার সামছুল হক সামছু বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে অভিযোগ করে মামলার আবেদন করেন।
তৃতীয় মামলাটির আবেদন করেছেন বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এ আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, মোর্শেদা বেগমকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত দুই দফায় এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, যেহেতু উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, সেহেতু আদালত ২০৩ ধারা অনুযায়ী রিনা বেগম ও সামছুল হক সামছুর মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। অপর মামলার আদেশ শনিবার দেওয়া হবে।
গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ইসলাম ধর্মের কটূক্তির অভিযোগ এনে স্কুল কমিটির লোকজন ও স্থানীয় জনগণ প্রথম মারধর করে। পরে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান কান ধরে ওঠবস করান। সেই থেকে তিনি দীর্ঘদিন পুলিশের নিরাপত্তায় ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১০ জুলাই সকালে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি কর্মস্থলে যোগদান করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের কাছে চোখের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাতদিনের ছুটির আবেদন করেন শ্যামল কান্তি। বর্তমানে তিনি সাতদিনের ছুটিতে রয়েছেন।