সরকার জনগণের অধিকার খর্ব করছে : সাকি

সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জনগণের অধিকার খর্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটি একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। অথচ নির্বাচনের পরে তার সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে গণসংহতির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী দিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে কর্তৃত্ব করছে। এর ফলে দেশে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে। এ অবস্থা চললে চোরাগোপ্তা হামলা আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে উগ্রবাদী শক্তি নানাভাবে সুযোগ গ্রহণ করবে।’
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার এই অন্যতম নেতা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক যে বাস্তবতার মধ্যে আমরা আছি। সেই আন্তর্জাতিক বাস্তবতা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে ওয়ার অন টেরর চলছে, তা সারা দুনিয়ায় এক ধরনের ইসলামী জঙ্গিবাদী শক্তির উত্থান ঘটিয়েছে। এই ঢেউ বাংলাদেশ পর্যন্ত আছে। আর বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ।’
জঙ্গি গ্রেপ্তারের নামে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অসংখ্য নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পেছনে পুলিশের বাণিজ্য কাজ করছে কি না এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানের নামে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, এতে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এভাবে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে, সেটা বিপজ্জনক হতে পারে।’
আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার হলেও বাস্তবে তা নয় উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নয়নকে গণতন্ত্রের বিপরীত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।’
গণসংহতি ঝালকাঠি জেলা শাখার সমন্বয়কারী আবদুল হাই হাওলাদারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু, বরিশাল জেলা আহ্বায়ক নবীন আহম্মেদ ও ছাত্র ফেডারেশনের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মিজান রহমানসহ স্থানীয় নেতারা।