খাগড়াছড়িতে বাঙালিদের হরতালের ডাক

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য বাঙালি সংগ্রাম পরিষদ ও বাঙালি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদসহ কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের ডাকে আগামীকাল রোববার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।
আজ শনিবার সংগ্রাম পরিষদের প্রেসসচিব মো. ওমর ফারুকের সই করা এক বিবৃতিতে এই ডাক দেওয়া হয়।
আগামীকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে চিঠি পাঠায়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিদূষী চাকমার সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিন পার্বত্য জেলা থেকে ২০০ জন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পুরুষ ও নারী সদস্যকে পাঠাতে হবে।
ওই চিঠিতে বাঙালিদের কথা উল্লেখ না থাকায় বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছে পার্বত্য বাঙালি সংগ্রাম পরিষদ।
এ ছাড়া সংগ্রাম পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৮ এপ্রিল জেলার পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ হোসেনকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। অপহরণের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন অপহৃত হোসেনের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। এ ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টা শেষ হলেও মোহাম্মদ হোসেন উদ্ধার না হওয়ায় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ ঘটনায় পার্বত্য বাঙালি সংগ্রাম পরিষদসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মতিনকে নৃশংসভাবে হত্যা ও পরবর্তী সময়ে তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভিটেমাটি ছাড়া করা এবং তার নাতি আল-আমিনকে অপহরণসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হয়নি।’
এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের সমতল ভূমিতে সরিয়ে নিতে ইউএনডিপির অসাংবিধানিক প্রস্তাব, অব্যাহতভাবে অপহরণ, হত্যা, গুম, সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল ৮ মে রোববার সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের অনুরোধ জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালি সংগ্রাম পরিষদ।
তবে অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধের দোকান, সংবাদপত্রের গাড়ি এবং রেস্টুরেন্ট হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।