দীঘিনালায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মোটরসাইকেলে আগুন

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বকল্যাণ চাকমার সমর্থকদের মধ্যে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে হাসিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ জন্য কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। এ সময় উত্তেজিত জনতা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
এ ছাড়া দূরবর্তী একটি বাড়িতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. শহিদ হোসেন চৌধুরী এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই নারী সদস্য প্রার্থীর হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী জানান, বিভিন্ন ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে মাটিরাঙার তবলছড়িতে চারজন, পানছড়িতে একজন এবং দীঘিনালায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলার আট উপজেলার ৩২ ইউনিয়নের ৩০৪টি ভোটকেন্দ্রে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন, সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ২৮৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৯২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে জেলায় পুলিশের সঙ্গে ছয় হাজার ৮৩৬ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
জেলার মাটিরাঙা উপজেলায় সাতটি, পানছড়িতে পাঁচটি, সদরে পাঁচটি, মহালছড়িতে পাঁচটি, মানিকছড়িতে তিনটি, লক্ষ্মীছড়িতে তিনটি, রামগড়ে দুটি এবং দীঘিনালায় তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সীমানা বিরোধ নিয়ে মামলা থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট গ্রহণের দুদিন আগে মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যছোলা ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।