স্কুলশিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় একটি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯১ রাউন্ড গুলি ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। গতকাল দুপুর ১২টায় উপজেলার কোদালিয়া শহরউল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ও সংলগ্ন কোদালিয়া বাজারে সংঘর্ষের সূচনা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে কোদালিয়া শহরউল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় কোদালিয়া গ্রামের লোকজন এ নিয়োগকে অবৈধ দাবি করে বিরোধিতা করে আসছিল। এ নিয়ে কোদালিয়া ও ঘাগড়া গ্রামের লোকজন নিয়োগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারছিলেন না।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘাগড়া গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ওই শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের কয়েক হাজার গ্রামবাসী ধারালো দা ও লাঠিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনলেও বর্তমানে এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং এর জের ধরেই সংঘর্ষ হয়।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাইন হোসেন বলেন,‘শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি এবং কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’