নেত্রকোনার ছোট্টু মিয়ার বাড়িতে চলছে শোক

সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামে ছোট্টু মিয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আর গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী নিহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানান। আর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সকাল থেকেই পলাশকান্দা গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোট্টু মিয়ার বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। বেলা বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ছোট্টু মিয়ার বাড়ি শোকাহত মানুষের ঢলে পরিণত হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে তাদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের হৃদয় বিদারক কান্না ও আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
আজ সোমবার বাদ জোহর পলাশকান্দা গ্রামে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। পরে নিহতদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে দুর্গাপুর আসার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের তারাকান্দা উপজেলার গাছতলা নামকস্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই একটি দ্রুতগামী ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট সাতজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়।
ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন, পলাশকান্দি গ্রামের নূরুল ইসলাম ছোট্টু মিয়ার ছেলে পান্না মেহেদী মনির (৪০), পুত্রবধূ পপি আক্তার (৩৫), ছোট ছেলের স্ত্রী আয়শা আক্তার (৩০), মেয়ে আসমা খাতুন (২৫), নাতনি মিম (৭), যাত্রী আরমান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবুল মিয়া। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ছোট্টু মিয়ার আরেক নাতি ১৮ মাসের শিশু হৃদয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।