ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা জাসদের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান সরকারকে বহিষ্কার করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় জাসদ নেতৃবৃন্দের কাছে সুপারিশ করেছে উপজেলা জাসদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এর ফলে ওই উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল মালেক সরকার।

আজ বুধবার ফুলবাড়িয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মাস্টার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার সভা মো. শরীয়তুল্লাহ মাস্টারের সভাপতিত্বে উপজেলা জাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নিকট হতে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় মো. আব্দুর রহমান সরকারকে উপজেলা জাসদের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বরাবরে আব্দুর রহমান সরকারকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ হতে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়।

সভায় উপজেলা জাসদের সহ-সভাপতি মো. শরীতুল্লাহ মাস্টারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।'

বিষয়টি উল্লেখ করে আজ বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ময়মনসিংহ মহানগর জাসদের সভাপতি সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু। তিনি লিখেছেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা জাসদ সভাপতি মো. আব্দুর রহমান সরকার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে গতকাল ১২ /৩/২০১৯ তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় মো. আব্দুর রহমান সরকারকে উপজেলা জাসদের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাহাকে প্রাথমিক সদস্যপদ হতে বহিষ্কার করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় জাসদ নেতৃবৃন্দের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা জাসদের সভাপতি আব্দুর রহমান সরকার দলের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু গতকাল তিনি গোপনে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। জানাজানি হলে আজ তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  পাঠান দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মাস্টার। সেই সঙ্গে উপজেলা জাসদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আব্দুর রহমান সরকারকে বেইমান উল্লেখ করে  তাঁর পোস্টার পুড়িয়ে তাঁকে ফুলবাড়িয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।