জনতার অনুরোধে ছাড়া পাওয়া দুর্বৃত্ত পুলিশকেই ছুরি মারল

দেশীয় অস্ত্রসহ আটক হওয়া এক দুর্বৃত্ত জনতার অনুরোধে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ছুরি নিয়ে সেই পুলিশের ওপরই হামলা চালিয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান আসাদকে (৩৭) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন গোরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহামেদ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় গৌরীপুর উপজেলার পৌর এলাকার জেলখানা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আসাদ নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি সাত মাস ধরে গৌরীপুর থানায় কর্মরত আছেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ওই এলাকার উজ্জ্বল নামে এক যুবককে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
ওসি দেলোয়ার আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, পৌর এলাকার জেলখানা মোড়ে রাতে উজ্জ্বল নামে এক বখাটে রামদা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। খবর পেয়ে এসআই আসাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে উজ্জ্বলকে আটক করেন।
পরে স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে এসআই আসাদ তাঁকে ছেড়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই উজ্জ্বল একটি ছুরি নিয়ে বেরে হয়ে আসেন এবং পেছন থেকে আসাদকে ছুরিকাঘাত করেন।
ওসি আরও বলেন, আসাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে উজ্জ্বল পালিয়ে যান। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী, গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহামেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা আহত পুলিশ কর্মকর্তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আসাদের অবস্থা জটিল। অপরাধী যেই হোক তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হননি। উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
‘কী কারণে আসাদকে ছুরি মারা হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। উজ্জ্বল গ্রেপ্তার হলেই সবকিছু পরিষ্কার জানা যাবে’, যোগ করেন পুলিশ সুপার।