নবজাতক বদলের অভিযোগে মামলা, হবে ডিএনএ টেস্ট

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে ছেলে সন্তান বদলে মেয়ে সন্তান দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন নবজাতকের বাবা মনু মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার দুপুরে।
নবজাতক বদলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ দাস। অন্যদিকে নবজাতক বদলের পরিবারের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলেও জানিয়েছেন শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আনোয়ার হোসেন।
নবজাতকের বাবা মনু মিয়া অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় তাঁর স্ত্রী পাপিয়া আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করেন তিনি। বিকেল ৫টার দিকে তাঁর ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার দুপুরে ছুটির সময় তাদের মেয়ে নবজাতক সরবরাহ করা হলে তিনি বেঁকে বসেন। এরপর শুরু হয় তোলপাড় ।
পরে শিশু ওয়ার্ডে আসেন বিভাগীয় প্রধান ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ দাস।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী নবজাতক বদলের কথা স্বীকার করে আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ দাস বলেন, কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ হলো মায়ের কোলে প্রকৃত বাচ্চা ফেরত দেওয়া। এ জন্য আজ ভোর সাড়ে ৫টায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। বাচ্চা ফেরত দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হবে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রয়োজনে মেয়ে নবজাতক, প্রসূতি পাপিয়া আক্তার ও তাঁর স্বামী মনু মিয়ার ডিএনএ টেস্ট করা হবে। মায়ের কোলে তার প্রকৃত সন্তান ফেরত দেওয়া হবে। হাসপাতাল ডকুমেন্টেশনে কিছু গড়মিল পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।