মেডিকেলে অকৃতকার্যরা ক্লাস করতে পারবেন মূল ব্যাচের সঙ্গে

দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রবল প্রতিবাদ ও দাবির মুখে ক্যারি অন পদ্ধতির বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছরের মে মাসের প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের মূল ব্যাচের সঙ্গেই ক্লাস করতে পারবেন। তবে এ জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১২ সালের এমবিবিএস কারিকুলাম অনুযায়ী ২০১৫ সালের মে মাসের প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁরা তাদের মূল ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করতে পারবেন। নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় যদি অকৃতকার্য বিষয়গুলোতে পাস করতে পারে, তাহলে তারা পরীক্ষা দেওয়ার শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য সেকেন্ড প্রফেশনাল পরীক্ষায় নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
‘আমি বিশ্বাস করি, এই সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে করে তাঁরা ক্লাসে ফিরে যাবেন এবং পরবর্তী পরীক্ষায় যেন তাঁরা পাস করতে পারেন এ জন্য প্রস্তুত হবেন। না হলে কিন্তু আর সুযোগ পাবেন না।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরপরই পরবর্তী বর্ষে ক্লাস শুরু করার অনুমতি পাওয়ার পদ্ধতিটিই হলো ক্যারি অন। কারিকুলাম অনুযায়ী বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি পেশাগত পরীক্ষা রয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত একটি পেশাগত পরীক্ষায় এক বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী পরের বর্ষে ক্লাস করার অনুমতি পেতেন এবং ছয় মাস পরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই বিষয়টির পরীক্ষা দিতে পারতেন। এতে নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে পিছিয়ে পড়তেন না তিনি।
কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি কোনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তাহলে তিনি নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে ছয় মাস পিছিয়ে যাবেন। এমনকি পরের বর্ষের ক্লাস বা ওয়ার্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের মেডিকেল কলেজগুলো। প্রায় প্রতিদিনই এই পদ্ধতি বাতিল করে ক্যারি অন পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে মিছিল, সমাবেশ, ক্লাস বর্জন, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।