ক্যারি অন পদ্ধতি বিবেচনা করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নতুন পাঠক্রম পদ্ধতি বাতিল করে আগের ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি পুনর্বহাল করার দাবি সরকার সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা বাসস।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলামে ‘ক্যারি অন পদ্ধতি’ পুনর্বহালের দাবি সরকার সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবে।
‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হবে।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর পরই পরবর্তী বর্ষে ক্লাস শুরু করার অনুমতি পাওয়ার পদ্ধতিটিই হলো ক্যারি অন। কারিকুলাম অনুযায়ী বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি পেশাগত পরীক্ষা রয়েছে। এত দিন পর্যন্ত একটি পেশাগত পরীক্ষায় এক বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী পরের বর্ষে ক্লাস করার অনুমতি পেতেন এবং ছয় মাস পর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই বিষয়টির পরীক্ষা দিতে পারতেন। এতে নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে পিছিয়ে পড়তেন না কেউ। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি কোনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তাহলে তিনি নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে ছয় মাস পিছিয়ে যাবেন। এমনকি পরের বর্ষের ক্লাস বা ওয়ার্ডে অংশ নিতে পারবেন না।