মানিকগঞ্জে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করলেন শিক্ষক

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য, অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জাহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম ও শিবালয় সদর উদ্দিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত ২০ জুলাই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করে তাঁকে কক্ষ পরিদর্শক, পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পাঠদান, অর্থ আদায়, শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তুষ্টলাল দত্ত, অভিভাবক সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ, সাইদুর মৃধা ও শিক্ষক প্রতিনিধি শাহিদা খন্দকার সীমা পরস্পরের যোগসাজশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জাহিদুল ইসলাম আরো জানান, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে দুটি পৃথক আবেদনপত্রের মাধ্যমে ২৬ ও ২৭ এবং ২৯ ও ৩০ এপ্রিল চারদিন ছুটি ভোগ করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তাঁর নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন অগ্রাহ্য করে ওই চারদিনের সরকারি অংশের বেতন কর্তন করেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির ১০ জনের মধ্যে ছয়জন বেতন কর্তন না করার জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাঁদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে বেআইনিভাবে তাঁর বেতন কর্তন করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্ধারিত বেতন শিটে তাঁকে না জানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর বসিয়ে অগ্রণী ব্যাংক আরিচা ঘাট শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তুষ্টলাল দত্ত বলেন, জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তাঁর ইচ্ছামতো ছুটি ভোগ করেন। গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় তাঁর বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, তা আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এখনো তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন।