ভারতের দেওয়া পানির সর্বোত্তম ব্যবহার করবে বাংলাদেশ

ভারতের দেওয়া পানি কোনোভাবেই অপচয় করবে না বাংলাদেশ। উজান থেকে আসা পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির কাজ হবে পানি অপচয় না করে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রকল্প নির্ধারণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ককে (এসডিজি) আহ্বায়ক করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৫ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-১ অধিশাখা গত ৯ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুজহাত ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কমিটি ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত পানি বণ্টন চুক্তির আওতায় আসা পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রকল্প চিহ্নিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, যৌথ নদী কমিশনের সদস্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, যৌথ নদী কমিশনের সাবেক সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নভেরা ও অধ্যাপক ড. মাসফিকুস সালেহীন।
প্রজ্ঞাপনে কমিটিকে প্রয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি, পরিবেশ ও প্রকৌশল বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
ভারতের দেওয়া পানি ব্যবহারে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের বিষয়ে কমিটির সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চুক্তি মোতাবেক আমরা ভারত থেকে যে পরিমাণ পানি পাই তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। এতে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ কারণেই উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি জলাধার নির্মাণসহ পানি ধরে রেখে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করবে।’
ড. জাফর বলেন, ‘শিগগিরই এ কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে। পানির অভাবে আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর যে ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা থেকে আমরা রক্ষা পাব যদি পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি।’